সহজেই জিতে নিন ১০০ টাকা পুরস্কার এবং সাথে সাথেই পেয়ে যান আপনার বিকাশ নাম্বারে এই সাইটে গিয়ে আপনার ভাগ্য চেক করুন আর পেয়ে যান নিশ্চিত পুরস্কার বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। ছবিতে অভিনয় করে নতুনভাবে এখন আলোচনায় রয়েছেন তিনি। দর্শক টানতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছুটছেন এই অভিনয়শিল্পী। তেমনই এক প্রচারণায় গিয়ে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না বাঁধন। কাঁদলেন। এরপর আবার সামলে নিয়ে কথা বলেন।
খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের গল্প নিয়েই সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। ঈদুল আজহায় সিনেমাটি ছয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার জানান, আগে থেকেই তাঁদের পরিকল্পনা ঢাকার মধ্যে থাকা। এরপর তাঁরা সিনেমাটি ঢাকার বাইরে মুক্তি দিতে চান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিনেমাটি দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে, অন্য রকম একটি গল্প। সব শ্রেণির দর্শকের জন্য গল্পটি হলেও মাল্টিপ্লেক্সই আমাদের প্রথম টার্গেট। পরে আমরা পরিস্থিতি বুঝে ঢাকার বাইরে মুক্তি দেব।’
‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবিটি ঢাকার বাইরে সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানালেন অভিনয়শিল্পী বাঁধনও। ঈদের দিন থেকে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে সিনেপ্লেক্সে। প্রতিদিন দর্শক প্রতিক্রিয়া জানতে বিভিন্ন হলে ছুটে যাচ্ছেন বাঁধন। দর্শকদের ইতিবাচক সাড়া দেখে সিঙ্গেল স্ক্রিন কর্তৃপক্ষকেও ছবিটি প্রদর্শনের ঝুঁকি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাঁধন।
তিনি বলেন, ‘“এশা মার্ডার: কর্মফল” সিঙ্গেল স্ক্রিনেও চলার মতো সিনেমা। সিঙ্গেল স্ক্রিন মালিকদের বলতে চাই, আপনারা একবার ঝুঁকি নিয়ে চালিয়ে দেখুন, আমার বিশ্বাস, এই সিনেমা মানুষ পছন্দ করবেন। আমার এবং মায়ের বাসার দুই সাহায্যকারী সিনেমাটি দেখে কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বেরিয়েছে। আমাকে ভালোবাসে বলে নয়, তারা সিনেমার গল্প ও চরিত্রের সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছে। তাই আপনাদের অনুরোধ করব, ঝুঁকি নিয়ে দেখুন। সব সময় একই ধরনের সিনেমা চালাবেন, এটা তো হয় না। আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। আমাদের পাশে থাকেন, ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেন।’
বাঁধন বলেন, ‘ছবিটি নিয়ে একটা নেতিবাচক রিভিউ নেই। প্রত্যেক দর্শক কানেক্ট করতে পারছেন। নারীরা তো পারছেনই, পুরুষেরাও এই গল্পের প্রশংসা করছেন। তাঁরা সবাই বলছেন, এ রকম সিনেমা আরও বেশি হওয়া উচিত। আমি মনে করি, একটা সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারী–পুরুষকে পাশাপাশি হাঁটতে হবে। আমাদের সিনেমা দর্শককে সে রকম একটা জায়গায় আনতে পেরেছে। আমি অনেক খুশি, যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমি কাজটা করেছিলাম, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। সিনেমা নিয়ে যখন খবর প্রকাশিত হয়, তখন নায়কদের পাশাপাশি আমার নাম নিয়ে বলা হয়, বাঁধনের সিনেমা আসতেছে, এটা আমার জন্য কতটা আনন্দের...ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি এই জায়গা অনেক কষ্ট করে বানিয়েছি।’
‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবির দর্শক দিনে দিনে বাড়ছে জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘প্রথম দিন দর্শকের সংখ্যা দেখে খুব হতাশ হয়েছিলাম। এর পর থেকে প্রতিদিন দর্শকের সংখ্যা বাড়ছে। আমি খুশি। কারণ, আমাদের সমাজ হয়তো এখনো প্রস্তুত নয় যে নায়ক ছাড়া সিনেমা দেখবে। কিন্তু দর্শক প্রমাণ করেছে, তারা এমন সিনেমা দেখার জন্য প্রস্তুত। নির্মাতা ও প্রযোজকদের এ ধরনের ঝুঁকি নিতে হবে। মিডিয়া শুধু টাকা বানানোর কিংবা বিনোদন দেওয়ার জায়গা নয়। এখানে সমাজের জন্য কিছু করার সুযোগ আছে। আপনারা এগিয়ে এলে সমাজ পরিবর্তনে মিডিয়া একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।’
Post a Comment