পেহেলগামের ঘটনা নিয়ে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতিতে সংঘাত বেধে যাওয়ার নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আলোচনা হচ্ছে দুই দেশের সামরিক শক্তি আর সক্ষমতা নিয়েও।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এখন বড় সংঘাত বেধে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভারত সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে ‘গোয়েন্দা তথ্য’ পাওয়ার দাবি করছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে নানা বিশ্লেষণ হাজির করছেন বিশেষজ্ঞরা। আলোচনা হচ্ছে দুই দেশের সামরিক সক্ষমতা নিয়েও।
লন্ডনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট পর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ এর তথ্যের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা শক্তির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতের বিভিন্ন বাহিনীতে মোট ১৪ লাখ সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে সেনা বাহিনীতে ১২ লাখ ৩৭ হাজার, নৌ বাহিনীতে ৭৫ হাজার ৫০০, বিমান বাহিনীতে ১ লাখ ৪৯ হাজার ও ১৩ হাজার ৩৫০ সদস্য রয়েছে কোস্ট গার্ডে।
অপরদিকে পাকিস্তানের তিন বাহিনীতে মোট সদস্য রয়েছে ৭ লাখ। এর মধ্যে সেনা সদস্য ৫ লাখ ৬০ হাজার, বিমান বাহিনীতে ৭০ হাজার আর নৌ বাহিনীতে কাজ করছে ৩০ হাজার।
ভারতের অস্ত্রসম্ভারের মধ্যে কামান রয়েছে ৯ হাজার ৭৪৩টি। বিপরীতে পাকিস্তানের রয়েছে ৪ হাজার ৬১৯টি। ভারতের ট্যাংক রয়েছে ৩ হাজার ৭৪০টি, পাকিস্তানের কাছে আছে ২ হাজার ৫৩৭টি।
আকাশ শক্তি
ভারতের যুদ্ধবিমান রয়েছে ৭৩০টি। আর পাকিস্তানের বহরে রয়েছে ৪৫২টি।
নৌ শক্তি
ভারতের কাছে রয়েছে ১৬টি সাবমেরিন, ১১টি ডেস্ট্রয়ার, ১৬টি যুদ্ধজাহাজ এবং দুটি বিমানবাহী রণতরী। পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে রয়েছে আটটি সাবমেরিন ও ১০টি যুদ্ধজাহাজ।
পারমাণবিক অস্ত্র
পারমাণবিক বোমার সক্ষমতার দিক থেকে প্রায় সমানে সমান দেশ দুটি। ভারতের কাছে রয়েছে ১৭২টি, বিপরীতে পাকিস্তানের আছে ১৭০টি।
কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে ২৬ জনের প্রায় যায়।
ওই হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটে। উভয় দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করে ফেলে; একে অপরের নাগরিকদের ‘বিতাড়িত’ করাসহ দ্বিপক্ষীয় নানা চুক্তিও স্থগিত হয়ে যায়। এখন বড় সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাধীনতার ৭৮ বছরে চারবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এর মধ্যে তিনটি লড়াই ছিল কাশ্মীর নিয়ে।
১৯৪৭ সালের অগাস্টে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বিদায়ের দুই মাস পর প্রথমবার কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধে জড়ায় ভারত ও পাকিস্তান। একটি চুক্তির মধ্য দিয়ে ওই যুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি। ওই চুক্তির পর থেকেই দুই দেশ অঞ্চলটির আলাদা আলাদা অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
Post a Comment